Weekly
ISLAMIC VIEWPOINT
….সপ্তাহের সংবাদ পর্যালোচনা
১১৯ তম সংখ্যা । ২০ মে, ২০২৪
এই সংখ্যায় থাকছে :
“আমরা সামনে তাকাতে চাই, পেছনে নয়: ডোনাল্ড লু”
“ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না”
“ডলারের ক্রলিং পেগ কী, কেন করতে হল?”
“অভিজাত এলাকায় আমরা অভিজাত ময়লা পেয়েছি : মেয়র আতিক”
“আমরা সামনে তাকাতে চাই, পেছনে নয়: ডোনাল্ড লু”
খবরঃ
ডোনাল্ড লু বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে এসে গত দুই দিনে আমি দুই দেশের জনগণের মাঝে পুনরায় আস্থা স্থাপনের চেষ্টা করছি। আমরা জানি, গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক টেনশন ছিল। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (বাংলাদেশে) অনুষ্ঠানে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম। এতে কিছু টেনশন তৈরি হয়েছিল। আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা স্বাভাবিক।’ এই সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সামনে তাকাতে চাই, পেছনে নয়। আমরা সম্পর্ক জোরদারের উপায় খুঁজে বের করতে চাই।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের পথে অনেকগুলো কঠিন বিষয় রয়েছে, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ও ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়ন। তাকে বলেছি কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হলে ইতিবাচক সহযোগিতার ওপর ভর করে এগিয়ে যেতে চাই।’ (https://www.prothomalo.com/bangladesh/hld31gmf8o)
মন্তব্যঃ
গাজায় মার্কিন মদদে দখলদার ইহুদীগোষ্ঠী কর্তৃক গণহত্যা এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর জনগণের নিকট এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, আমেরিকা একটি প্রতারক ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তাই, ডোনাল্ড লু-এর বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে আওয়ামী-বিএনপি শাসকগোষ্ঠীর উচ্ছাস দেখে জনগণ হতাশ। যখন সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানেন, আমেরিকার নিকট মানবাধিকার, সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র ইত্যাদি হচ্ছে মুখোশ। জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর উপর চাপ প্রয়োগ করে তার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে সে এগুলোকে ব্যবহার করে আসছে। তাই তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় চেপে বসা আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে বৈধতা প্রদান ও সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার টোপ নিয়ে আমেরিকার উচ্চপদস্থ এই কূটনীতিক ডোনাল্ড লু–এর বাংলাদেশ সফরে এসেছে। তার সফরের মূল উদ্দেশ্য ‘অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন’-এর নামে তাদের উপনিবেশবাদী প্রকল্পসমূহ বস্তবায়নে গতিশীলতা নিয়ে আসা। এই প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন, আকসা-জিসোমিয়া চুক্তি ও সামরিক জোট গঠন, নব্য ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানী ‘ExxonMobil’-কে গভীর সমুদ্র বন্দরে তেল-গ্যাস (হাইড্রোকার্বন) ব্লকসমূহ বরাদ্দ প্রদান। সুতরাং, আমেরিকার প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, যেকোন মূল্যে, যেকোন উপায়ে তার উপনিবেশিক স্বার্থ হাসিল করা, আর আওয়ামী-বিএনপির মত দালাল শাসকগোষ্ঠীর কাজ হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তার চাওয়া পূরণ করা, অথবা ক্ষমতায় যেতে আমেরিকার চাওয়া পূরণে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের আন্দোলন করা যাতে আমেরিকা তার প্রতি খুশি হয়। এই ফ্রেম-ওয়ার্কের মধ্যেই আমাদেরকে সবসময় আমেরিকা এবং তার দালালদের চিনতে হবে ও বুঝতে হবে।
আমেরিকা, যার হাত দশকের পর দশক ধরে মুসলিম উম্মাহ্’র রক্তে রঞ্জিত তার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সাথে বাংলাদেশ সরকারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার আলোচনা সুস্পষ্টভাবেই মুসলিমদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। গত ৭৬ বছর ধরে আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি দখল করে দখলদার ইহুদীগোষ্ঠী ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর মানব ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। ৭ ই অক্টোবর ২০২৩ – ১৭ই মে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শুধু ২২৩ দিনেই আমেরিকার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ৩৫,৩০৩ জনকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ১৫ হাজারের বেশিই শিশু। নারী ও শিশু হত্যাকারী নিকৃষ্ট জালেমদের সাথে হাত মিলানো প্রমাণ করে বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী এদেরই একজন। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, “হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত” (সূরা-মায়েদা-৫১)। যখন বিশ্বব্যাপী উম্মাহ্ ফিলিস্তিনের মুসলিমদের পক্ষে অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্র এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত, তখন সরকার কর্তৃক আমেরিকার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককীকরণের পদক্ষেপ, ইসরায়েলের বিমান বাংলাদেশে আসার সুযোগ করে দেয়া প্রমাণ করে এই শাসকগোষ্ঠী এদেরই একজন এবং এরা সম্মিলিতভাবে উম্মাহ্’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই, উম্মাহ্’র রক্ত ও কান্না এদের কাছে কোন গুরুত্ববহন করেনা। আল্লাহ্ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিনদেরকে ছেড়ে কাফিরদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তোমরা কি আল্লাহ্র জন্য তোমাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ দিতে চাও”(সূরা-নিসা-১৪৪)। সুতরাং, বাংলাদেশের মুসলিমদের আজ যেমন ফিলিস্তিনে আমেরিকা ও ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে আন্দোলনরত, তেমনি তাদেরকে এই অঞ্চলে আমেরিকা এবং তার দালাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে। এবং উম্মাহ্কে এই ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করার একমাত্র সক্ষমগোষ্ঠী উম্মাহ্’র নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারদের নিকট দাবি জানাতে হবে যেন তারা এই দালালদের অপসারণ করে দ্রুত খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে উম্মাহ্’র নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
- আসাদুল্লাহ্ নাঈম
“ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না”
খবরঃ
রাজধানীতে ব্যাটারি বা যন্ত্রচালিত কোনো রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। .. সভায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এটা আগে কার্যকর করুন। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করুন। ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাতে না চলে, সেই বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যাতে না পারে, সেটার ব্যবস্থা করুন। সারা দেশে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। .. সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার, যখন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন, যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন, তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন। (www.ittefaq.com.bd/687453/ঢাকা-শহরে-কোনো-ব্যাটারিচালিত-রিকশা-চলবে-না’)
মন্তব্যঃ
যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের এই সিদ্ধান্তের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ‘বাংলার টেসলা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। জ্বালানী সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে এই তিন চাকার যানকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানায়। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের এই বিপরীতমুখী অবস্থান জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। বিভিন্ন হিসেব মতে, সারাদেশে ৫০ লক্ষাধিক মানুষ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালিয়ে এবং এসম্পৃক্ত ব্যবসা করে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। প্যাডেল রিকশার বডি হালকা হওয়ায় গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য স্থানীয় মেকানিকরা বডির অপেক্ষাকৃত ভারী ও টেকসই, এবং আরামদায়ক ও নিরাপদ স্টিল বডির রিকশা ও ভ্যান তৈরি করেছেন। বাস্তবতা হলো, বেশিরভাগ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক মালিক বিভিন্ন এনজিও থেকে উচ্চসুদে লোন নিয়ে এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক কিনেছেন, যা সপ্তাহান্তে কিস্তি আকারেপরিশোধ করতে হয়। (বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ https://sarbojonkotha.info/sk-28-battery-rickshaw/)। আবার যাত্রীদেরও কোন বিকল্প না থাকায় এই যানবাহন ব্যবহার থেকে বিরত থাকাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। রিকশা চালক এবং যাত্রীদের জন্য বিকল্প যানবাহনের ব্যবস্থা না করে ব্যাটারী চালিত রিকশা নিষিদ্ধ বা চলাচলে বাধা দেয়া জনগণের উপর জুলুম এবং শাসকের চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। যে নিরাপত্তা ঝুঁকির অজুহাতে মন্ত্রী এবং মেয়ররা ব্যাটারিচালিত রিকশা ব্যবহারে বাধা দিচ্ছে, তাও ইতিমধ্যে স্থানীয় মেকানিকরাই অনেকটা সমাধান করে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে, বুয়েটসহ অনান্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দিলে আরও কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরা, জনগুরুত্বপূর্ণ এই যানবাহনটির ব্যাপারে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না, কারণ যানবাহনটির বৈধতার অস্পষ্টতার সুযোগে সরকারের স্থানীয় নেতা ও পুলিশ প্রশাসন চাঁদাবাজির সুযোগ পাচ্ছে। শুধুমাত্র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অবৈধভাবে চলছে লক্ষাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজি বাইক। দশটি চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলা এসব যান থেকে মাসে কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। আর এই চাঁদার ভাগ-ভাটোয়ারা হয় স্থানীয় পুলিশ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে। (বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ দশ চক্রের টোকেনে চলে লক্ষাধিক অবৈধ রিকশা-ইজিবাইক, ০৮ জুলাই ২০২৩, দৈনিক যুগান্তর)। ঢাকা দক্ষিনের মেয়র তাপসসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এই চাঁদার সুবিধাভোগী হওয়ার পরেও তিনিই আবার এই যানবাহনটি বন্ধের কথা বলছেন কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শাসকরা জনগণের উপর অসীম কর্তৃত্ব উপভোগ করলেও জনগণের বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হয় না। এই মনোভাব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত সকল শাসকদের মধ্যে বিদ্যমান। তারা এতদিন এই যানবাহন চলাচলে চাদাবাজির সুবিধাভোগী, তাদের বিভিন্ন আশ্বাসের কারণে সাধারণ জনগণ এব্যবসায় এগিয়েছে, এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নামে তারাই আবার এটিকে বন্ধ করে জনগণকে বলি দিচ্ছে; যদিও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎখাতে সীমাহীন অপচয় ঠেকাতে তারা একেবারেই উদাসীন।
ইসলামে শাসন কর্তৃত্ব শুধুমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা’র এবং খলিফা জনগণের সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য দায়িত্বশীল। তিনি তার দায়িত্বের ব্যাপরে দুনিয়া এবং আখিরাতে জবাবদাহিতার সম্মুখিন হবেন। আবদুল্লাহ্ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ “জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই একজন দায়িত্বশীল; আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব ইমাম, যিনি জনগণের দায়িত্বশীল তিনি তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন…”। খলিফা জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে জনগণের সার্বিক বিষয় দেখাশুনায় দায়িত্বশীল। খলিফা শারীয়াহ যেসব বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে যেমনঃ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, যানবাহনের ফিটনেস ইত্যাদি জন্য তিনি জনগণের জীবনকে সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করার উদ্দেশ্য পলিসি/সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য তিনি রাষ্ট্রের শিল্প ও গবেষণাসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজে লাগাবেন। এক্ষেত্রে বৈপরীত্যের যেমন কোন সুযোগ নাই তেমনি শাসকগোষ্ঠীর খায়েস (বড়ত্ব প্রকাশ) প্রকাশেরও কোন সুযোগ নাই। এছাড়া, জনগণ ঠিক মনে না করলে এই সিদ্ধান্তগুলো চ্যালেঞ্জ করার জন্য সরকারী দপ্তর থেকে দপ্তরে ঘুরতে হবে না। জনগণ সরাসরি খলিফা বা তার প্রতিনিধিদেরকে জবাবদাহিতা করতে পারবে।
- সিরাজুল ইসলাম
“ডলারের ক্রলিং পেগ কী, কেন করতে হল?”
খবরঃ
বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। আক্ষরিক বাংলা করলে হয়, এখন থেকে দেশের মধ্যে ডলারের দর লাফ দিয়ে বাড়তে পারবে না, কেবল হামাগুড়ি দিতে পারবে। আর সেই হামাগুড়ি দিতে হবে নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে, সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না। গত আড়াই বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের দামের লাফ দেওয়ার হার ৩৬ শতাংশ (টাকার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস)। আরও বেশি লাফ দেওয়া ঠেকাতেই নতুন এই ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি। (https://www.prothomalo.com/business/economics/rnncnhlyin)
মন্তব্যঃ
বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের ব্যাপারে ইসলামের বিধান হল দুটি ভিন্নমুদ্রার লেনদেন নগদ ও তাত্ক্ষণিক ভিত্তিতে হতে হবে। মুদ্রা দুটির বিনিময় হার নির্ধারিত হবে প্রকৃত চাহিদা-যোগান অনুযায়ী বাজার দরের ভিত্তিতে এবং এই দর যেহেতু প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে, তাই লেনদেনটি নগদ ও তাত্ক্ষণিক ভিত্তিতে না হলে দর হ্রাস বা বৃদ্ধি পাওয়া সাপেক্ষে লেনদেনের মূল্যমান কম বা বেশি হলে এই পার্থক্যকে ইসলাম সুদ হিসেবে বিবেচনা করে। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) দুটি ভিন্ন মুদ্রার বিনিময়ের ব্যাপারে বলেছেন, “যে যার প্রয়োজন ও ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোন পরিমাণে মুদ্রা কেনাবেচা করতে পারবে কিন্তু লেনদেন হতে হবে তাত্ক্ষণিক ও হাতে হাতে” (সহীহ মুসলিম, আবু বাকরা থেকে বর্ণিত) এবং “দুটি ভিন্ন মুদ্রার বিনিময় তাত্ক্ষণিক ও হাতে হাতে না হলে এই লেনদেনটি সুদি লেনদেন হিসেবে গণ্য হবে, যা হারাম” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম, উমার রা: থেকে বর্ণিত)। অর্থাৎ টাকা ও ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারিত হবে প্রকৃত চাহিদা-যোগানের উপর নির্ভর করে বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এবং লেনদেন হতে হবে তাত্ক্ষণিক ও হাতে হাতে, এক্ষেত্রে কোন হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ।
কিন্তু ডলারের দাম স্থির বা স্থিতিশীল রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানাভাবে হস্তক্ষেপ করে; আমদানী-রফতানী নীতি পরিবর্তন, ‘বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ’ এবং বাজারের প্রকৃত চাহিদা-যোগানকে প্রভাবিত করার জন্য ডলার ক্রয়-বিক্রয় করার ব্যাপারে ‘ব্যাংকিং বিধিনিষেধ’ আরোপ করে। এমনকি টাকা ছাপানোরও একটি অন্যমত নীতিগত লক্ষ্য থাকে যাতে ডলারের সাথে টাকার বিনিময় হারকে প্রভাবিত করা ও টাকার মানকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করা যায়। ডলারের চাহিদা ও যোগানকে প্রভাবিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এসকল হস্তক্ষেপের ভিত্তিতে টাকার মূল্যমান (যা ডলারের দামের সমার্থক) নির্ধারণের পদ্ধতিকে ‘ডার্টি ফ্লোটিং’ (dirty floating) বলা হয়। এই ‘ডার্টি ফ্লোটিং’-কে ‘ফ্রি ফ্লোটিং’ (free floating) বা বাজারের প্রকৃত চাহিদা-যোগানের উপর ছেড়ে দেওয়ার জন্য আই.এম.এফ দীর্ঘদিন ধরে চাপ প্রয়োগ করে আসছে এবং আইএমএফ-এর দাবি মানার অংশ হিসেবে মধ্যবর্তী ধাপ হিসেবে এই ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিকে সামনে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশের অযোগ্য স্যেকুলার নীতি-নির্ধারকরা টাকার মূল্যমানকে ডলারের সাথে সম্পর্কযুক্ত করে দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েছে, আবার দাম বাড়িয়ে সেটাকে সামাল দিতে মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপ করে এসেছে। ডলার নিজে একটি মূল্যমানহীন কাগুজে মুদ্রা (ফিয়াট কারেন্সি); মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০৮ সালে তার ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস ও করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় ট্রিলিয়ন-ট্রিলিয়ন কাগুজে ডলার ছাপায়, যদিও এসময়ে তার প্রকৃত অর্থনীতি তথা মোট উৎপাদন সে অনুযায়ী হয়নি। যার ফলে আমেরিকার অর্থনীতিতে যেমন ব্যাপক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ঠিক তেমনি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির, কারণ ডলার হচ্ছে অধিকাংশ দেশের আন্তর্জাতিক লেনদেনের অন্যতম মাধ্যম। তাছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সময়ে সময়ে রেপোরেট বা সুদহার বাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তার বন্ডে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে ডলার চাহিদা বাড়িয়েছে। সুতরাং, তার ইচ্ছামত হস্তক্ষেপে ডলার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি দেশের অর্থনীতি আজ চরম ভূক্তভোগী। আইএমএফ এই বাস্তবতা ভাল করেই জানে। আইএমএফ-এর উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশে তাদের এই অস্থিতিশীলতা ও উত্কন্ঠা তৈরীর সক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করা যেন তারা অর্থনীতের উপর আরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও সরকারকে পুতুলের মত নাচাতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের অযোগ্য স্যেকুলার নীতি-নির্ধারকরা এখন ডলারের সাথে টাকার সম্পর্ককে ছিন্ন ও স্বর্ণ-রৌপ্য ভিত্তিক মুদ্রা চালু না করে বরং আইএমএফ-এর কাছে আত্মসমর্পণ করে ‘ক্রলিং পেগ’ হয়ে ‘ফ্রি ফ্লোটিং’ এর নামে ডলারের আধিপত্যকে আরো সুসংহত করার ব্যবস্থা করছে।
সুতরাং, মূল সমস্যা হল ডলার-ভিত্তিক মুদ্রাব্যবস্থা, ফলে একমাত্র সমাধান হল স্বর্ণ-রৌপ্য ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করা। স্বর্ণ-রৌপ্য ভিত্তিক মুদ্রাব্যবস্থা ও বাজারভিত্তিক মুদ্রাবিনিময় চালু করলে আমেরিকা তার নিজস্ব মূল্যমানহীন কাগুজে ডলার ছাপিয়ে আমাদের মূলবান স্বর্ণ-রৌপ্য বাগিয়ে নিবে এমন মনে করার কোন কারণ নেই। বাস্তবতা হল, দেশের অভ্যন্তরীণ মুদ্রাবাজারে ও আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে ডলারের চাহিদা তৈরী হবে না, কারণ স্বর্ণ-রৌপ্য ভিত্তিক মুদ্রা নিজস্ব মূল্যমানের কারণে সবসময়েই আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে এবং আমেরিকা ছাড়া বাদবাকি পুঁজিবাদি বিশ্বও ডলারের আধিপত্য থেকে মুক্তি চাইছে। ফলে, ডলারের দর একলাফে শুন্যের কাছে চলে না গিয়ে যেন হামাগুড়ি দিয়ে হ্রাস পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমেরিকাকেই বরং ‘রিভার্স ক্রলিং পেগ’ নামের নতুন কোন তত্ত্ব আবিষ্কার করতে হবে! এবং সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, ইনশা‘আল্লাহ।
- রিসাত আহমেদ
“অভিজাত এলাকায় আমরা অভিজাত ময়লা পেয়েছি : মেয়র আতিক”
খবরঃ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘শাড়ি-পাঞ্জাবি বিভিন্ন ধরনের পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজন হয়ে থাকে। তবে আমরা প্রথমবারের মতো ময়লা-আবর্জনার প্রদর্শনী আয়োজন করলাম। খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে আমরা অভিজাত এলাকায় অভিজাত সব ময়লা পেয়েছি।’ আজ শনিবার (১১ মে) রাজধানীর গুলশান-২ এ ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খাল, ড্রেন ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মেয়র।… (https://www.ntvbd.com/bangladesh/news-1399653)
মন্তব্যঃ
অপরাধী শাসকগোষ্ঠী ও তাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন পুঁজিপতি গোষ্ঠী যখন নদীগুলোকে নালা-নর্দমায় পরিণত করেছে, জলাশয়গুলোকে ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে, তখন সেগুলোর প্রতিকার না করে সামান্য গৃহস্থলীর ময়লা ফেলার অভিযোগে যখন জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন প্রদর্শনীর নামে ‘সার্কাস পার্টি’র আয়োজন করা হয়, তখন জনগণ চরম বিরক্তি অনুভব করে। আমরা দেখছি, একদিকে মুষ্ঠিমেয় পুঁজিপতিদের স্বার্থে একটা বড় ভোক্তাগোষ্ঠীকে একসাথে পাওয়ার উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসমূহ রাজধানী কেন্দ্রিক করা হচ্ছে এবং রাজধানীতে জনসাধারনের চাপ বাড়ানো হচ্ছে, তারপর এত সকল জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত গৃহস্থলীর বর্জ্য যথাযথ ব্যবস্থাপনা না করে নদীসমূহে দূষন বাড়ানো হচ্ছে। আবার অন্যদিকে আরও কিছু পুঁজিপতি গোষ্ঠীর স্বার্থে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করে একটা ভয়াবহ ও সমাধানযোগ্য সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। তারপর খাল দখলে মেয়র নিজেকেসহ বড় অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে সাধারন লোকজনের উপর সকল দায় চাপিয়ে দিয়ে, তাদেরকে সচেতন হতে বলছে (দেখুন, নদী খেকোদের তালিকায় মেয়র আতিক!নদী খেকোদের তালিকায় মেয়র আতিক!)।
এই সমস্যার মূল হলো বর্তমান প্রচলিত পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার ব্যক্তিতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। এই মতবাদ অনুসারে- ‘ব্যক্তিই প্রধান। সমাজ অপ্রধান। ব্যক্তির পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিশ্চিত হয় ব্যক্তির উপর সমাজের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে। তাই যেকোন সামাজিক সমস্যাকে এখানে ব্যক্তিগত সমস্যা হিসেবে দেখা হয়’। যেমন শাসকগোষ্ঠীর কেউ নদী ভরাট করলে, সেটা দেখা হয় তার ব্যক্তিগত সমস্যা হিসেবে। আবার কেউ যদি জলাশয়ে ময়লা ফেলে সেটাও ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির সমস্যা হিসেবেই দেখা হয়। আবার সবাইকে যেহেতু ব্যক্তি স্বাধীনতার চর্চা করার অনুমতি দেয়া হয়, তখন প্রায়ই একজনের স্বাধীনতার চর্চা অন্যজনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ যখন নদী ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করে, তখন নদী কেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহকারী সাধারণ জনগণ সমস্যায় পড়ে। তখন মানুষে মানুষে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় এবং স্বাভাবিকভাবেই এই দ্বন্দ্বে জয়ী হয় এই মেয়র আতিকের মত ক্ষমতাশীন দখলদারেরা। তারপর, তারা জয়ীর আসনে বসে সাধারণ মানুষের কাঁধে সমস্ত দায় চাপিয়ে নিজেদের দখলকৃত নদী-খাল-বিল-জলাশয়ের জমি নিশ্চিন্তে উপভোগ করে। তাই ব্যক্তিতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির এই সমাজব্যবস্থায় কখনোই নদীর প্রবাহ ঠিক রাখা কিংবা খাল বিল জলাশয় অক্ষত রাখা সম্ভব না। কারণ সমাজ কখনোই শুধুমাত্র কিছু ব্যক্তির সমষ্টি নয়, বরং ব্যক্তির সমষ্টির সাথে সাথে সাধারণ জনমত, জনগণের সাধারণ আবেগসমূহ ও একটা শাসনব্যবস্থা- এগুলোও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই যেকোন সমস্যার কারণ শুধুমাত্র ব্যক্তি সচেতনতার অভাবই না, বরং ভ্রান্ত জনমত এবং এই জনমত প্রসূত আবেগ-অনুভূতি এবং ভ্রান্ত শাসনব্যবস্থাও এর জন্য দায়ী। তাই এই ক্ষেত্রে যেমন একদিকে জলাশয়গুলো ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী মহল কর্তৃক ভরাট করে নালায় পরিণত করে অন্যদিকে সাধারণ জনগণকে কেয়ামত পর্যন্ত ময়লা ফেলার ব্যাপারে সচেতন করলেও জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে না। কারণ জনগন এটাই মনে করবে যে, ‘পুরো নদীতো দখল! আমি এক পোটলা ময়লা ফেললে আর কি ক্ষতি হবে?’
এ ক্ষেত্রে সমাজে একমাত্র ইসলামী শাসন ব্যবস্থার অধীনে ইসলামী হুকুমগুলো চর্চা করলেই সমাধান সম্ভব। কারণ এ ব্যাপারে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর পজেটিভ আবেগ ও চিন্তা রয়েছে। আর ইসলাম নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়- এগুলোকে পাবলিক প্রপার্টি হিসেবে বিবেচনা করে। যেকোন ব্যক্তি কর্তৃক এগুলো ভোগ-দখল করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, “তিনটি বিষয়ে সকল জনগণ শরিক- আগুন, পানি ও চারণভূমি”। ইসলামী ব্যবস্থা একদিকে যেমন সারাদেশে সুষম উন্নয়নের ব্যবস্থা করে রাজধানী কেন্দ্রিক চাপ কমাবে, তেমনি পরিবেশের ক্ষতি সাধনকারী পলিথিন সহ অন্যান্য পণ্যের ব্যবহারসমূহ নিয়ন্ত্রণ করবে। আবার ব্যক্তি মানুষও নদীতে ময়লা ফেলাকে মদ খাওয়ার মতই হারাম হিসেবে দেখবে এবং এর থেকে বিরত থাকবে। তারপরও যদি এক্ষেত্রে কেউ সীমালংঘন করে, তখন এই ব্যবস্থার শক্তিশালী বিচারব্যবস্থার ‘কাজী উল হিসবা’ বিভাগ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
- মোঃ জহিরুল ইসলাম