“সিটিটিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এফবিআই এর প্রতিনিধি দলের সিটিটিসি কার্যালয় পরিদর্শন”
খবরঃ
সিটিটিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চলমান সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট পরিদর্শন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) এফবিআই এর লিগ্যাল অ্যাটাশে সোহেল দাউদ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, সিটিটিসি মোঃ ছালেহ উদ্দিনসহ সিটিটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে এফবিআই এর প্রতিনিধি দল সিটিটিসি কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং সন্ত্রাসবাদ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবেলায় বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া সাইবার ক্রাইম, ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আধুনিক প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এবং এসব অপরাধ দমনে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়। (https://dmpnews.org/সিটিটিসির-সক্ষমতা-বৃদ্ধি/)
মন্তব্যঃ
কুখ্যাত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই (The Federal Bureau of Investigation) এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হচ্ছে রাজনৈতিক ইসলামকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ট্যাগিং দেয়া; এবং তদন্ত ও গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের নামে মুসলিম দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্যাতন, গুম-খুনের ট্রেনিং দেয়া। হাসিনা সরকারের শাসনামলে সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) ছিল বাংলাদেশে বহু জঙ্গী নাটক তৈরির মূল হোতা। ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পশ্চিমাদের একনিষ্ঠ সৈনিক হাসিনাকে বিদায়ের পর কুখ্যাত সিটিটিসি-কে বিলুপ্ত না করে, বরং এটির সক্ষমতা বৃদ্ধির নামে আরেক কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী মার্কিন সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারও একই অপরাধে তার হাতকে প্রসারিত করেছে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনার সাথে গাদ্দারী করছে।
সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর পশ্চিমা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো তাদের আদর্শিক শত্রু হিসেবে ইসলামকে পুনরায় টার্গেট করে। ফলে গত শতাব্দীর নব্বই এর দশকের পর থেকে পশ্চিমাদের মিডিয়া, সিনেমা, রাজনৈতিক ন্যারেটিভ সবকিছুতেই ইসলামবিদ্বেষের চিত্র ফুটে উঠতে শুরু করে। ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ নাম করে ইসলামের উত্থানকে দমনে রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি ফ্রন্টে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন, ইরাক-আফগানিস্তানে সামরিক এবং আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থনৈতিক আগ্রাসন যেমন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, ঠিক তেমনি ইসলামী শাসনব্যবস্থা তথা খিলাফত প্রতিষ্ঠার রাজনীতিকে সন্ত্রাসবাদের ট্যাগিং দেয়া, এলজিবিটিকিউ-লিবারালিজমের মত ধ্বংসাত্মক পশ্চিমা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনও আমরা প্রত্যক্ষ করছি। মুলত, মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমাদের দালাল গোষ্ঠী ক্ষমতার লোভে কিংবা তাদের পশ্চিমা প্রভুদের প্রতি অগাধ আনুগত্য দেখাতে আল্লাহ্ ও মুসলিমদের সাথে গাদ্দারী করে।
কিন্তু, বাস্তবতা হচ্ছে পশ্চিমাদের পদলেহন করে কেউই ক্ষমতায় টিকতে পারেনি, কারণ আমরা দেখেছি বাশার আল আসাদ কিংবা হাসিনার মত শাসকদের উম্মাহ্ অপমানের সাথে বিদায় দিয়েছে। এবং পশ্চিমারাও এসব শাসকদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় ছুড়ে ফেলেছে, যেমন সাদ্দাম হোসেন, হোসনে মুবারক, গাদ্দাফী। সুতরাং, পশ্চিমা দালালগোষ্ঠীর বুঝা উচিত পশ্চিমাদের পদলেহন করে ও ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে কেউ টিকে থাকতে পারেনি, এমনকি ভবিষ্যতেও পারবে না। মুসলিম শাসকদেরকে অবশ্যই বন্ধু নির্বাচনে ইসলামের বিধান মেনে চলা উচিত। মুসলিমদের অনিষ্ট করার চেষ্টারত কোনো শত্রুরাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বের ব্যাপারে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সতর্ক করে বলেন, “মুমিনরা যেন মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহ্’র সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই” (সূরা আলি ইমরান: ২৮)
- মোঃ হাফিজুর রহমান