আমেরিকার একজন জেনারেল এক ব্যক্তিগত আলোচনায় আমাকে বলেছিলেন যে বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ইচ্ছা রয়েছে। আমেরিকা আমাদের সাথে ততটুকুই ঘনিষ্ঠ হতে পারে যতটুকু আমরা আমাদের সীমানা ছাড়িয়ে তাদের ভূরাজনৈতিক চিন্তাধারার সাথে সহযোগীতা করতে পারি; যেমন বার্মা এক্ট। ড. খলিলুর রহমান এই সরকারের বিশেষ উচ্চতর কুটনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে জয়েন করেছে, তার প্রচুর যোগাযোগ রয়েছে আমেরিকার সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সাথে। আমেরিকা আমাদের দেশের ইয়াং জেনারেশনের ইউটিলিটি বুঝতে পেরেছে। আমার মনে হয় ইয়াং জেনারেশনকে ব্যবহার করলে সামনের বছরগুলোতে আমেরিকা এই অঞ্চলে তার উদ্দেশ্য সাধন করতে পারবে, যা হল বঙ্গোপসাগরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। বঙ্গোপসাগরে যদি আমেরিকান নেভি আসে তাহলে আমরা চীনকে বোঝাতে পারব আমরা চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই, আমেরিকার ঘাঁটি হতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। (https://www.youtube.com/watch?v=xUjlqR85xAc)
মন্তব্যঃ
বঙ্গোপসাগরে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সহযোগীতার চিন্তা কিংবা একইসাথে আমেরিকা ও চীনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার চিন্তাটি মূলত: একটি পতিতাবৃত্তি বা প্রস্টিটিউশন কেন্দ্রীক চিন্তা। এই চিন্তাকে প্রকাশ্যে প্রচার করতে যাদের লাজলজ্জা হয়না তারা মূলত বাংলাদেশকে জাতি হিসেবে ভাড়াটে প্রস্টিটিউটের চেয়ে বেশি কিছু মনে করে না। তারা মনে করে বাংলাদেশের উচিত আত্মসম্মান ও স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে পসরা সাজিয়ে বসা যেন অর্থের বিনিময়ে আমেরিকা-ভারত বা চীন যে কেউই বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পদ ও ভৌগলিক অবস্থানকে পালাক্রমে প্রস্টিটিউটের মত করে ব্যবহার করতে পারে! এবং কিছু লোকের কর্মকান্ড দেখলে মনে হয় যেন তারা নির্দিষ্ট অর্থ বা কমিশনের বিনিময়ে খদ্দের আকৃষ্ট করার চুক্তি নিয়েছে, অথবা খদ্দেরের হয়ে প্রস্টিটিউটের সাথে দরকষাকষির দায়িত্ব নিয়েছে। এমন লোকদের জানা উচিত, তাদের এই নোংরা ব্যবসা কখনোই সফল হবে না। কারণ বাংলাদেশ হলো রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর প্রাণপ্রিয় সেই উম্মাহ্ একটি সম্মানিত ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেই উম্মাহ্ অচিরেই শতবছরের আড়ষ্টতা থেকে আঁড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দিবে, যা (pragmatists) নৈরাশ্যবাদীরা তাদের দু:স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারে না।
ড. খলিলুর রহমানের এই অন্তর্বর্তী সরকারে উচ্চতর কুটনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান ও তার সাথে আমেরিকার সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সাথে প্রচুর (!) যোগাযোগ থাকা প্রমাণ করে এই সরকার আমেরিকার আজ্ঞাবহ লোকদের সমন্বয়ে গঠিত। এই খলিলুর হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যাকে পিনাকী ভট্টাচার্যী তার ‘গুরু’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছিল প্রিয় খলিলুর ভাই তার ভিডিওর স্ক্রীপ্ট চুড়ান্ত করে দিত এবং এই জন্য তারা ঘন্টার পর ঘন্টা টেলিফোনে কথা বলত! এ থেকে পিনাকী ভট্টাচার্যীর ‘কিবলা’ ও অনুগত্য সম্পর্কেও আর কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। আর আমেরিকা বাংলাদেশের ইয়াং জেনারেশনের ‘ইউটিলিটি’ বুঝতে পেরেছে মর্মে ড. শাহিদুজ্জামান যে উক্তি করেছেন এবং তরুণদের নতুন দলের সাথে জর্জ সরোসদের উঠাবসা ও ইসলামের খিলাফত ব্যবস্থার সরাসরি বিরুদ্ধাচরণ প্রমাণ করে বৃহত্তর তরুণ সমাজের পরিবর্তনের আকাঙ্খার উপর ভর করে আমেরিকা তার নিজস্ব হীন স্বার্থ অর্জনের ষড়যন্ত্র অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তরুণদের নিষ্ঠাবান অংশকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। দেশবাসীকেও এই সরকার ও তরুণদের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে শুধুমাত্র ইসলামী মানদন্ড দিয়ে বিচার করার চর্চা শুরু করতে হবে, যা হল জনগণের একমাত্র রক্ষাকবচ। এবং মুসলিম হত্যাকারী আমেরিকার জেনারেলদের সাথে এম শাহিদুজ্জামানদের মত লোকদের উঠাবসাকেও অবশ্যই অতি সন্দেহের চোখে দেখতে হবে।
- রিসাত আহমেদ