খবরঃ
এখন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণ ও হামলার মধ্যে ফিলিস্তিনিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেষ বার্তা ও বিদায় চিঠি লিখে রাখছেন। তাদের আশঙ্কা, এবার তারা বাঁচবেন না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকেই গাজাবাসী ইসরায়েলের আক্রমণ ও তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় হতাশা ও মৃত্যুভয় নিয়ে লেখা পোস্টের সংখ্যা বেড়েছে। তারা লিখেছেন, ‘এবার মনে হয় আমরা আর বাঁচবো না...!’। (www.kalbela.com/world/middle-east/177460)
মন্তব্যঃ
গাজার মুসলিমদের কর্তৃক সাহায্যের জবাবে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচি বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে, কিন্তু এই কর্মসূচীগুলোর লক্ষ্যে নির্ধারণ না করলে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা বন্ধ হবে না। ঢাকা শহরসহ পুরো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের পরও আমেরিকা-ইসরাইলের কোন ভ্রুক্ষেপ হচ্ছে না। কারণ, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস রাষ্ট্র দিয়ে মোকাবেলা করতে হয়, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের বেশী কিছু করা সম্ভব নয়, বিশ্বে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো যার প্রমাণ। বিশ্বে যেকোন প্রান্তে মার্কিন, বৃটিশ কিংবা ইউরোপীয় নাগরিক আক্রান্ত হলে তার অভিভাবক হিসেবে আমেরিকা, বৃটেন কিংবা ইইউ আছে কিন্তু মুসলিমদের নিরাপত্তায় কোন অভিভাবক নেই, কারণ তারা পশ্চিমাদের দালাল। মুসলিমদের অভিভাবক সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই ইমাম (খলিফা) হলেন একটি ঢাল যার অধীনে তোমরা যুদ্ধ করো এবং যার দ্বারা নিজেদের রক্ষা করো” (সহীহ্ মুসলিম)। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের প্রতি ‘সহমর্মীতা’ জানানোর একমাত্র উপায় হলো: অনতিবিলম্বে বাংলাদেশকে খিলাফত রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়া। তারপর খিলাফতের অধীনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে দিয়ে “ফিলিস্তিনের জন্য জরুরী সামরিক মহড়া” (Emergency Military Drill for Palestine) নামের পূর্ণ সামরিক মহড়ার ঘোষণা প্রদান করা। এই মহড়া উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিন ও আল-আক্বসা মুক্ত করতে সামরিক অভিযানে যোগদানে ইচ্ছুক সাধারণ জনগণকে তালিকাভুক্ত করতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড সহ দেশের সকল ক্যান্টনমেন্টগুলোতে বুথ স্থাপন করা। এরপর মহড়ার দিন রণসাজে সজ্জীত হয়ে ইসলামপ্রিয় সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে দেশের জনগণ তাক্ববির ধ্বনী দিয়ে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে ঘোষণা দিবে “আমরা তোমার জন্য প্রস্তুত হে আল-আক্বসা, আমরা তোমার জন্য প্রস্তুত হে ফিলিস্তিন, ১৯৪৮-২০২৫ প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা না নিয়ে আমরা থামব না”। সেই সাথে বিধ্বংসী কামানের গগণবিদারী তোপধ্বণী ও উদ্দত জঙ্গী বিমান থেকে মারণাস্ত্রের নিশানা প্র্যাকটিস করবে খালিদ বিন ওয়ালিদ ও আলী ইবনে আবু তালিবের যোগ্য উত্তরসূরীরা।
এই জরুরী সামরিক মহড়া দেশের সীমানার ভিতরে আয়োজন করা হলেও এর অগ্নিস্ফুলিঙ্গ-সম জি/হাদী উদ্দীপনা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়বে তুরস্ক, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো, সুদান ও পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্টগুলোতে। বেজে উঠবে জি/হাদের দামামা ও শত্রুর মরণঘন্টা। সেই দামামায় বিলীন হয়ে যাবে দালাল শাসকদের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ এবং কেঁপে উঠবে সকল কাফিরদের অন্তরাত্মা। তাছাড়া, ছাত্রজনতার মিছিল থেকে ঢাকার রাজপথে ইতিমধ্যেই ‘আপস না জি/হাদ? জি/হাদ- জি/হাদ’ ধ্বণী উঠেছে এবং ফিলিস্তিন মুক্ত করতে সেনাবাহিনী মার্চ করার ডাক চলে এসেছে! এই মুহূর্তে সেনাবাহিনী খিলাফত প্রতিষ্ঠায় তার ‘নুসরাহ্’ এবং ফিলিস্তিন মুক্ত করতে ‘জি/হাদের’ ইসলামী দায়িত্ব পালনে সাড়া দিলে গত ১০০ বছর ধরে ফুটন্ত লাভার মত ক্রমাগত জ্বলতে থাকা এই মুসলিম উম্মত সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মত ফেঁটে পড়বে, যার আঁচ থেকে বাঁচতে আমেরিকা-ইউরোপ জান নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুঁটে পালাবে!
ক্যান্টনমেন্টের ভিতর ইসরাইলী পণ্য নিষিদ্ধ করে ডিভিশন হেডকোয়ার্টারস থেকে অফিসিয়াল নোটিস প্রদান প্রমাণ করে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য কিছু একটা করার তাড়না রয়েছে। এই ‘জরুরী সামরিক মহড়ার’ চেয়ে কম কোন কিছু করলে তা ফিলিস্তিনের মুসলিমদের প্রতি সহমর্মীতা নয় বরং উপহাস হিসেবে গণ্য হবে। কারণ, এমন একটি পরিপূর্ণ (full scale) মহড়া আয়োজনের ৭ দিনের মধ্যে ফিলিস্তিন সহ পুরো বিশ্বরাজনীতির গতিপথ পাল্টে যাবে। আর এই যুগান্তকারী কাজে নেতৃত্ব দিয়ে পুরো বিশ্বের মুসলিম সামরিক বাহিনীগুলোর মধ্যে অগ্রগামী হওয়ার দুর্লভ সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সামনে। মহাপরক্রমশালী ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ বলেন: আর (মহৎকাজে) অগ্রবর্তীরাই তো অগ্রগামী। তারাই আল্লাহ্’র সবচেয়ে নিকটবর্তী (সূরা আল ওয়াকিয়াহ: ১০-১১)।
- রিসাত আহমেদ