খবরঃ
বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত টেলিভিশন সঞ্চালক জিল্লুর রহমান একটি ভিডিওতে ঈদের পরে দেশ অস্থির হতে পারে আশঙ্কা করে একটি গোপন প্রতিবিদনের বিষয়ে আলোচনা করেন। রিপোর্টটিতে কিছু ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করে দেশবাসীকে সতর্ক করেন। (https://www.youtube.com/watch?v=1pPfAicRFFE)
মন্তব্যঃ
জিল্লুর সাহেব রিপোর্টটিকে নির্ভরযোগ্য দাবি করলেও এটা প্রস্তুতের পদ্ধতি হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্লেষণের মত বিতর্কিত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যা প্রতিবেদনটির তথ্যনির্ভরতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান তুলশী গ্যাবার্ডের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ‘ইসলামী খিলাফত’-এর পুনঃউত্থান নিয়ে বক্তব্যের সাথে কাল্পনিক এই প্রতিবেদনটির সম্পর্ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিবিদনটি উদ্দেশ্য বিকৃত তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে আমেরিকার “ওয়ার অন টেরর”-এর নামে “ওয়ার অন ইসলাম”-এর প্রেক্ষাপট তৈরির পুনঃমঞ্চায়ন।
জালিম হাসিনাকে উৎখাত করার সময় আমেরিকা ইসলামপ্রিয় জনতা বিশেষ করে বিভিন্ন ইসলামী গ্রুপকে সম্পৃক্ত করার সময় আমেরিকানপন্থি বুদ্ধিজীবি এবং মিডিয়াগুলো দাবী করেছিল আমেরিকা বাংলাদেশে ”ওয়ার অন টেরর” প্রকল্প পরিত্যাগ করেছে। বাংলাদেশে আমেরিকার সমর্থন নিয়ে ইসলামপন্থিদের আর দমন করা যাবে না। কিন্তু, হাসিনার পতনের পরে আমেরিকার ইসলামবিদ্বেষী এফবিআইয়ের প্রতিনিধি দল আলেম এবং মুসলিম নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত সিটিটিসির কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং সন্ত্রাসবাদ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করে। (বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ সিটিটিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে এফবিআই, ঢাকা পোষ্ট, ২২ জানুয়ারি ২০২৫)। অর্থাৎ, আমেরিকা ইসলামপন্থিদের আকৃষ্ট করার জন্য “ওয়ার অন টেরর” প্রকল্পকে সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত রাখলেও একবারে ছেড়ে দেয় নাই। এই অঞ্চলে আমেরিকার মূল উদ্দেশ্য চীন এবং খিলাফতের পুনঃউত্থান ঠেকানো। এই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে আমেরিকা ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, বার্মা এ্যাক্ট, আকসা, জিসোমিয়ার মত কৌশলগত পরিকল্পনা, আইন এবং চুক্তি করছে।
আমেরিকা এবং তাদের দালালরা কখনও মুসলিমদের বন্ধু হতে পারে না। পবিত্রভূমি ফিলিস্তিনের মুসলিমদের হত্যায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলকে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়ে আমেরিকা তার মুসলিম বিদ্বেষকে শতভাগ প্রমাণ করেছে। সুতরাং, আমেরিকার এবং তার দালালদের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করে ইসলামের মধ্যে সম্মান খোঁজাই মুসলিমদের মুক্তি একমাত্র পথ। ওমর ফারূক (রাঃ) বলেছেন, ‘আমরা ছিলাম সবার চেয়ে নিকৃষ্ট জাতি। আল্লাহ্ আমাদেরকে ইসলাম দ্বারা সম্মান দান করেছেন। সুতরাং আল্লাহ্ আমাদেরকে যে জিনিস দ্বারা সম্মানিত করেছেন, তা ছাড়া অন্য জিনিস দ্বারা যখনই আমরা সম্মান অনুসন্ধান করব, তখনই আল্লাহ্ আমাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন।’
- মো: সিরাজুল ইসলাম
