খবরঃ
ঢাকা সফরের প্রথম দিনই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক। বৈঠক শেষে আমীর খসরু বলেন, আলোচনায় অর্থনীতি, ট্যারিফের বিষয়টি উঠে এসেছে। নির্বাচনের বিষয়ে কথা হয়েছে। নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে সামনের রাজনীতি কোনদিকে যাবে এবং আমাদের রাজনীতিতে দলের গঠন প্রক্রিয়া, সাংগঠনিক কার্যক্রম, আদর্শ ইত্যাদি বিষয়ে তাদের আগ্রহ ছিল। জামায়াত আমির বলেন, আমরা যদি আগামীতে দেশের দায়িত্ব পাই তাহলে আমাদের ইকোনমিক পলিসি এবং ফরেন রিলেশনটা কেমন হবে? তারা আমাদের রিজিওনাল বা আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়গুলো জানতে চেয়েছেন। (https://bdtoday.net/politics/25470 )
মন্তব্যঃ
যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান দলগুলোর জবাবদিহিতামূলক এই বৈঠক থেকে এটা আবারও স্পষ্ট হলো, দেশের মূল ক্ষমতা আসলে উপনিবেশবাদী শক্তি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। অথচ এই রাজনৈতিক দলগুলো ও বিভিন্ন বুদ্ধিজীবিরা প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্বের কথা বলে বেড়ায়। একদিকে, এরা গণতন্ত্রের গুণকীর্তন গেয়ে বলে বেড়ায় গণতন্ত্র ছাড়া জনগণের প্রতিনিধিত্ব ও প্রকৃত স্বাধীনতা সম্ভব না, অথচ বাস্তবে তারা উপনিবেশবাদীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতাকে মূল প্রাধান্য দেয়- এসব বৈঠক তার নমূণা। তাদের কাছে নির্বাচন কেবল একটি লোকদেখানো আনুষ্ঠানিকতা।
গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা পালানোর পর ড. মো. ইউনুস শপথ নিয়ে বলেছিলেন উনার নিয়োগকর্তা হচ্ছে ছাত্ররা। পরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ছাত্রদের একজনকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন যে, “Everything was Meticulously Planned”. একই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ইউনুসকে তাদের অনেক ‘পুরোনো বন্দুক’ আখ্যায়িত করে বলেন, “He has succeeded in doing so that we almost do. We all have to stay in the future business. And somebody has to pay the first loan you know and the rest can repay” - যা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, ড. মো. ইউনুস মূলত নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে আমেরিকাকে তার ব্যক্তিগত ঋণশোধ করার জন্য। বলাবাহুল্য হাসিনাও একইভাবে, তার বাবা ও পরিবারের প্রতি বৃটেন ও ইন্ডিয়ার করা রাজনৈতিক সহযোগীতার প্রতিদান দিতে গিয়ে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। অথচ বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে, ১৯৪৭, ১৯৭১, ১৯৯০, ২০২৪ দেশের মানুষ বারবার রক্ত দিয়েছে বৈষম্যহীন ও বিদেশী আধিপত্যমুক্ত ভবিষ্যত গড়তে। কিন্তু তারা বারবার প্রতারিত হয়েছে, কারণ উপনিবেশবাদীদের ডিজাইন করা বর্তমান সেকুলার ব্যবস্থায় এটা নিশ্চিত করা হয় যে, শুধু ঐসব রাজনৈতিক দল ও শক্তিরই অস্তিত্ব থাকবে যারা পশ্চিমা কুফর গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখবে এবং পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষা করবে।
দেশের সচেতন নাগরিকদের দায়িত্ব হচ্ছে, এমন একটি মেটিকিউলাস রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা, যা আমাদেরকে বৈষম্যমুক্ত ও বিদেশী আধিপত্যমুক্ত করবে। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর দেখানো পদ্ধতিতে করা হিযবুত তাহ্রীর-এর রাজনীতি হচ্ছে তেমনই রাজনীতি- যা বিকল্প বিশ্ব ব্যবস্থা খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। দলটি ইতিমধ্যে সেই রাজনীতির ব্লুপ্রিন্ট ও নেতৃত্বশীল খিলাফত রাষ্ট্রের সংবিধান জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে।
- মোহাম্মদ তালহা হোসেন