পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’, ভারতের ২৬ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত

 

খবরঃ

ভারতের ‌‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পাল্টা জবাবে অভিযান শুরু করে পাকিস্তান। তাদের অভিযানের নাম দেওয়া হয়, ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’, যার অর্থ সীসাঢালা প্রাচীর। এ অভিযানের আওতায় জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবসহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের ২৬টি স্থানে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী। এর আগে বুধবার রাতে ভারতের অত্যাধুনিক ৫টি যুদ্ধবিমান ও পরে আরো ‍অন্তত ১২ টি সামরিক ড্রোন ধ্বংস করেছে পাকিস্তান। (https://www.banglanews24.com/international/news/bd/1514865.details)

মন্তব্যঃ

সপ্তাহের ব্যবধানে মুশরিক রাষ্ট্র ভারতের দম্ভের ফানুস চুপসে দিয়েছে মুসলিম সামরিক বাহিনী। শাহাদাতের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কৌশল ও সাহসীকতার সমন্বয়ে রাশিয়া-ফ্রান্স-ইসরাইলে তৈরী অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল সমরাস্ত্র দিয়ে যেভাবে পরাস্ত ও নাস্তানাবুদ করেছে তা বিশ্বের বিভিন্ন সামরিক বিশ্লেষকদেরকে অবাক করেছে। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-এর উম্মত আবারো প্রমাণ করেছে সামরিক শক্তির হিসাব ও র‌্যাঙ্কিং শুধুই কাগজে-কলমে, যুদ্ধের প্রকৃত জয়-পরাজয় নির্ভর করে সমরাস্ত্র ব্যবহারকারী সৈনিকের ঈমান, সাহসীকতা ও পৌরুষের উপর। তাই, জি*হাদের চেতনায় ‘মরলে শহীদ-বাঁচলে গাজী’ স্লোগাণে উদ্বুদ্ধ মুসলিম সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করার ক্ষমতা পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রের নেই, সে যত বড় পরাশক্তির তকমা-ই ধারণ করুক না কেন! কারণ: অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে বসে থাকা ইহুদী-খ্রীস্টান-মুশরিক সৈন্যটি মৃত্যর ভয়ে কুকড়ে থাকে। অনাহার ক্লিষ্ট ইয়েমেনের হুতি বিদ্র্রোহীদের ছোড়া আর্টিলারীর আঘাতে আমেরিকার বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারী ট্রুমেন থেকে এফ-১৮ (সুপার হর্নেট) যুদ্ধবিমান আরবসাগরে পরে যাওয়ার ঘটনা তারই প্রমাণ বহন করে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ সামরিক সক্ষমতা নিয়েও ইসরায়েল-আমেরিকা ফিলিস্তিনের হামাসের মাত্র কয়েক হাজার যোদ্ধাকে এখনো পরাজিত করতে পারেনি। বিচ্ছিন্নভাবে মুসলিমদের এই বাাহিনীগুলো যেভাবে শক্তিধর কাফির সেনাবাহিনীর মুখে চুনকালি মেখে দিয়েছে, পুরো মুসলিম উম্মাহ্‌ যদি একজন খলিফার নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে এর সম্মিলিত বাহিনীর সামনে দাঁড়ানোর সাহস কী কারো হবে?

সংবাদ সম্মেলনে সংঘাতে ভারতের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টা বারবার এড়িয়ে গেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী; যা প্রমাণ করে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবী করা অধিকাংশ তথ্যেরই বাস্তবতা রয়েছে। ভারতের কয়েকশ শহরে ও পুরো পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে ব্ল্যাকআউট ঘোষণা দিয়ে মোদি সরকার প্রমাণ করেছে তারা কতটা ভয় পেয়েছে (!), যদিও ভারতের শাসকগোষ্ঠী জানে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী চরম সেকুলার, আমেরিকার আজ্ঞাবহ এবং কখনোই মুসলিম উম্মাহ্‌’র রক্তের প্রতিশোধের তোয়াক্কা করে না। মসজিদ-সহ বিভিন্ন অসামরিক টার্গেটে বিনা উস্কানিতে ভারতীয় হামলায় অন্তত ২৬ জন মুসলিম নিহত হওয়ার পরও পাকিস্তানের দালাল শাসকগোষ্ঠী নির্লজ্জের মত বলেছে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংযমের পরিচয় দেওয়ার জন্য! যেখানে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেন: “অন্যায়ভাবে একজন মুসলিমের রক্ত ঝরানো হলে তা আল্লাহ্‌’র দৃষ্টিতে পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার চেয়েও বেশি গুরুতর” (সুনানে নাসাঈ)। পাকিস্তানের দালাল শাসকগোষ্ঠী মুসলিমদের পবিত্র রক্তকে তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ও আমেরিকার ভূরাজনৈতিক চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করছে। আল্লাহ্‌ তাদেরকে ধ্বংস করুন!

মুসলিম সেনাবাহিনীকে সামরিক অভিযানে প্রেরণের মাধ্যমে ফিলিস্তিন, কাশ্মির ও আরাকান মুক্ত করতে ন্যায়নিষ্ঠ রাজনৈতিক দল হি*যবুত তাহ্‌রীর দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম উম্মাহ্‌-কে যে সমাধানের দিকে আহ্বান করে আসছে তা যে কতটা বাস্তবসম্মত ও কার্যকর সমাধান তা ভারতের পরাজয় ও আতঙ্কিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণিত হয়েছে। নবুয়তের আদলে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর এই ভীতু প্রাণীগুলো আমাদেরকে আক্রমণ করা দূরে থাক, আতঙ্কে তাদের স্বাভাবিক চিন্তাশক্তিও লোপ পেয়ে যাবে; তখন নিজেরা নিজেদের যুদ্ধবিমানে মিসাইল মেরে দিবে, কিংবা দূর থেকে ট্রেনের হুইসেল বা জাহাজের হর্ণ শুনে মিসাইল এলার্ট মনে করে ভয়ে দৌড় দিবে! মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ বলেন: “তারা কখনোই একতাবদ্ধ হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না। যদি করেও, তারা তা করবে নিরাপদ দুর্গের ভিতরে অবস্থান নিয়ে অথবা কোন উচু প্রাচীরের পিছনে লুকিয়ে থেকে। …কারণ তারা এমন সম্প্রদায় যারা নির্বোধ” (সূরা হাশর: ১৪)।

    -    রিসাত আহমেদ

Previous Post Next Post