নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জাতিসংঘের

 


খবরঃ 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা নতুন ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশনন্স রিফিউজি এজেন্সি (ইউএনএইচসিআর)। নতুন আসা এসব রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজারের আশপাশে অস্থায়ীভাবে তাঁবু টানিয়ে আছে, এমনকি স্কুল ও মসজিদে অবস্থান করছেন। ‘নতুন রোহিঙ্গাদের স্থায়ী শিবিরে আশ্রয় দিতে ইউএনএইচসিআর থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনো সরকার আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, ক্রমাগত এভাবে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে থাকলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।’

(https://www.jaijaidinbd.com/national/548007)

মন্তব্যঃ

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের উপর ইউএনএইচসিআর দিয়ে চাপ প্রয়োগ করছে জাতিসংঘ। অথচ, বিগত প্রায় ২ দশক ধরে মিয়ানমার সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে রাখাইন রাজ্যকে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ করার কোন কার্যকর উদ্যোগ জাতিসংঘ নেয়নি। ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই কথা প্রযোজ্য; রক্তপিপাসু ইসরায়েল বোমা মেরে মুসলিমদেরকে হত্যা ও ঘরবাড়ি ধ্বংস করে, তারপর জাতিসংঘ সেখানে তার লোগো-যুক্ত তাবুর তেরপল নিয়ে হাজির হয় মহান সাজতে! আবার, পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘের কোন তৎপরতা চোখে পরে না, সেখানে যুদ্ধ বন্ধে এগিয়ে আসে তাদের বড়ভাই আমেরিকা। তথাকথিত বড়ভাই আমেরিকা আবার আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও রাখাইন সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থতা দেখায়; এখানে তার প্রক্সি যুদ্ধ প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কাঁধে ভর করার! প্রতারণাপূর্ণ পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থার অধীনে আমেরিকা-জাতিসংঘের এমনই এক অশুভ চক্রের মধ্যে বসবাস করছে বিশ্ববাসী, বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহ্‌। এখানে জাতিসংঘ হল আমেরিকার ছায়া। শয়তানের শিং আমেরিকার ছায়া এই জাতিসংঘকে ‘পুতপবিত্র’ ও মহান প্রতিষ্ঠান মনে করা নি:সন্দেহে অর্বাচীনদের কাজ।

ভারতের কাছে যদি প্রমাণ থেকে থাকে যে পহেলগাম হামলায় পাকিস্তান জড়িত থাকে তাহলে সে কেন জাতিসংঘের কাছে প্রতিকার চাইতে গেল না? কেন সে আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণ উপস্থাপন করে মামলা দায়ের না করে পাকিস্তানের মসজিদের উপর মিসাইল হামলা করে নিরীহ মুসলিমদেরকে হত্যা করল? আমেরিকাও কেন ভারতকে মামলা করতে বলল না বা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মিটিং না ডেকে নিজে হস্তক্ষেপ করতে গেল? মূলত: আমেরিকা, জাতিসংঘ ও পশ্চিমারা বর্তমান বিশ্বের সকল রক্তপাত ও অশান্তির জন্য দায়ী। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তাআলা পবিত্র কুর‘আন-এ বলেন: “যখন তাদেরকে বলা হয় তোমরা পৃথিবীতে ফ্যাঁসাদ (রক্তপাত ও হানাহানী) সৃষ্টি করো না, তারা বলে, ‘আমরাইতো শান্তি স্থাপনকারী’। সাবধান! এরাই সকল রক্তপাত ও অশান্তির হোতা, কিন্তু তারা সেটি অনুধাবন করে না” (সূরা আল-বাক্বরা: ১১-১২) 

    -    রিসাত আহমেদ


Previous Post Next Post