সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও করিডোর বিষয়ে আপসহীন সেনাবাহিনী


খবরঃ 

সম্প্রতি আলোচিত ‘মানবিক করিডোর’কে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয় এমন যেকোনো বিষয় কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। সোমবার (২৬ মে) সেনা সদরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এই দৃঢ় অবস্থানের কথা জানায় তারা। (https://www.manobkantha.com.bd/news/print/628181)

মন্তব্যঃ

রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করে “মানবিক করিডোর” তৈরির নামে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে প্রক্সি ওয়ারে লিপ্ত হওয়ার স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত যখন প্রায় নিশ্চিত, তখন রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী কর্তৃক রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে আপসহীন অবস্থান নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু সেনাবাহিনীর এটাও মনে রাখা উচিৎ, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব শুধুমাত্র করিডোর প্রদানের মাধ্যমেই বিঘ্নিত হয় না। রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে যখন শত্রুরাষ্ট্র ভারত কিংবা মার্কিন বাহিনীর সাথে সামরিক মহড়া করানো হয় কিংবা আকসা ও জিসোমিয়ার মত বিভিন্ন সামরিক চুক্তি করা হয়, তখনও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হয়। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব তখনও বিঘ্নিত হয়, যখন রাষ্ট্রের অর্থনীতি জিম্মি হয়ে যায় আইএমএফ-এর মত বিদেশী সংস্থাগুলোর জনগণের স্বার্থবিরোধী পরামর্শের কাছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট এই ভূখন্ডের উপর এলজিবিটিকিউ, বহুত্ববাদের মতো পশ্চিমা কুফর বস্তাপচা চিন্তাগুলো চাপিয়ে দেয়াও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। 

তাই, সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবস্থান নিতে হলে, সার্বভৌমত্বকে ইস্যুভিত্তিকভাবে না দেখে সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম কিন্তু তার উপর যে শাসন আরোপ করা হয়, তা পুরোপুরি তার বিশ্বাস ও আবেগের সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা জানি, ইসলাম নিছক একটি ধর্ম নয়, এটা একটা জীবনব্যবস্থা যার মাঝে অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, সমরনীতি থেকে শুরু করে সবকিছুর দিকনির্দেশনা দেয়া আছে। জনগণ ইসলামকে তার জীবনব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠাকে তারা আবশ্যক কাজ হিসেবে গণ্য করে। তাই সেনাবাহিনীর উচিৎ জনগণের এই পদক্ষেপসমূহ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্রষ্টার আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রকল্পকে সমর্থন করা, তবেই প্রকৃতপক্ষে দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব।  

    -    জাবির জোহান


Previous Post Next Post