টিকিট ছাড়া স্টেডিয়ামে প্রবেশকারীদের ওপর সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জ


খবরঃ

ফুটবল খেলা দেখার জন্য টিকিট ছাড়া স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেছে, ‘সেনাবাহিনী মারার পরেও পুলিশ আমাদেরকে ইচ্ছা মতো মেরেছে’। (https://www.youtube.com/watch?v=7y6-Jd1GLvo )

মন্তব্যঃ

টিকিট চেক করার স্ক্যানার মেশিন নষ্ট থাকার কারণে অনেকের টিকিট থাকা সত্যেও স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে না পারা থেকে ঘটনার সূত্রপাত। কিন্তু, এই অতিতুচ্ছ ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সামনে এই বাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে। বিগত দশ মাসেও এই অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ বাহিনীকে পুনঃগঠন করে মাঠে নামাতে পারেনি এবং পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যার ফলে, অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা সেনাবাহিনীর কাজ না হলেও এই বাহিনীকে দীর্ঘসময় ধরে মাঠে রেখে এই বাহিনীর সদস্যদেরকে শারীরিক, মানসিক ও নৈতিকভাবে দূর্বল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে, প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার পূর্বেই আমাদের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্লান্তি ও যুদ্ধ বিমুখতা নিয়ে আসা হচ্ছে, যা আমাদের মুশরিক শত্রুদেরকে কৌশলগত ‍সুবিধা প্রদান করবে। 

সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণই হল বহিঃশত্রুকে ধ্বংস করার জন্য, অন্যদিকে পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা প্রদান, আইন-শৃঙ্গলা রক্ষা করা, ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে। Strength, Agility and Endurance এর সমন্বয়ে সামরিক বাহিনীকে এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যেন শত্রু তাদের ভয়ে ভীত থাকে এবং তাদের কেউ শত্রুর হাতে ধরা পরলে শত্রু তাদেরকে সহজে কাবু করতে না পারে। ফলে, স্বভাবতই তাদের কার্যপ্রণালী কঠোর প্রকৃতির হয়। তাদেরকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা করতে দিলে তারা সেটাকে যুদ্ধক্ষেত্রের মত করেই কঠোর ও রুক্ষ মেজাজে তত্ত্বাবধান করবে। তাই, দেশের সাধারণ জনগণের প্রতি তাদের যেকোন কঠোর আচরণের প্রকৃত দায়ভার অন্তর্বর্তী সরকারের উপরই বর্তায়।

খিলাফত ধ্বংসকারী কাফির উপনিবেশবাদী বৃটেনের কলমের খোঁচায় তৈরী সিআরপিসি-১৮৯৮ অনুসরণ করে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগের মধ্যে সেনাবাহিনীর জন্য নূন্যতম কোন মর্যাদা নেই। কারণ এই আইন করা হয়েছিল বৃটিশ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়ালে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ ও দমন করার জন্য। এই আইনের মূল কাঠামো আজ অবধি বহাল রেখেছে দেশের জনগণকে ‘তথাকথিত’ স্বাধীনতা এনে দেওয়া সকল সেকুলার রাজনৈতিক দল ও সরকার। ফলে, আল্লাহ্‌ বিবর্জিত সেকুলার শাসনব্যবস্থার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে সেনাবাহিনী তাদের দুনিয়ার মর্যাদা এবং আখিরাতের ক্ষমা ও পুরষ্কার উভয়ের সম্ভাবনাকেই পায়ে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। তাদের উচিত তাদের সামরিক শক্তিকে ব্যবহার করে এই মানবরচিত ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে আল্লাহ্‌’র আদেশ-নিষেধের ভিত্তিতে পরিচালিত খিলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। তাহলে, তারা দুনিয়ার মর্যাদা এবং আখিরাতের ক্ষমা ও পুরষ্কার সবই পাবে।

    -    রিসাত আহমেদ


Previous Post Next Post