“ইরান দ্যা “ব্ল্যাক বুল”... “হোয়াইট বুল” এবং “রেড বুল” এর হত্যাকাণ্ড নীরবে প্রত্যক্ষ করার পর, নিজের হত্যার অপেক্ষায়”
(অনুবাদকৃত)
ইরানি সরকার চৌদ্দ বছরেরও বেশি সময় আগে সিরিয়ার ইসলামী বিপ্লবের পায়ের তলায় আমেরিকার দালাল বাশার আল-আসাদকে পিষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে তার পূর্ণ ক্ষমতা - তার অর্থনীতি, সশস্ত্র বাহিনী, বিপ্লবী গার্ড, কুদস বাহিনী এবং লেবাননে তার প্রক্সি দল হিজবুল্লাহ্ - একত্রিত করেছিল। কিন্তু, তারা কখনও নিজের নিরাপত্তার জন্য সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করার কথা ভাবেনি, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপন করার কথা ভাবেনি, অথবা অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রকে ঠেকাতে বিমান মোতায়েন করার কথা ভাবেনি!
ইরান ফিলিস্তিনের জনগণের উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো দেখেও নিষ্ক্রিয় দর্শক হিসেবে রয়ে গেছে। তারা দখলদারদের বিরুদ্ধে একটি আঙুলও তোলেনি, এমনকি তাদের তথাকথিত “কুদস ব্রিগেড”ও সক্রিয় করেনি। লেবাননে তাদের দলকে দখলদার সত্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার নির্দেশও দেয়নি। বিপরীতে, ইরান সিরিয়ার জনগণকে হত্যা করছিল। সিরিয়ায় থাকাকালীন, সিরিয়া এবং লেবাননের ভূখণ্ডে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের বারবার আক্রমণের মুখে ইরান নীরব ছিল। লেবাননে তাদের দলের ঘাঁটি ধ্বংস হতে দেখে, নেতাদের হত্যা হতে দেখে এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্ল্যাটফর্ম পুড়িয়ে যেতে দেখেও, এমনকি তাদের মরিচা পড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোও অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিংবা গাজার প্রতিরক্ষায় কখনও নিক্ষেপ করেনি, যখন দখলদার বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো হতে মসজিদ, বাড়ি এবং স্কুলে বোমা হামলায় ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিস্ফোরিত হচ্ছিল।
বছরের পর বছর ধরে, অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র ইরানের ভেতরে এবং বাইরে ইরানি নেতাদের হুমকি, লক্ষ্যবস্তু এবং হত্যা করে আসছে, কিন্তু ইরান এমনভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহস করেনি, যা তার সুনাম রক্ষা করতে পারে। ইরানের প্রতিক্রিয়া কেবল খালি বাগাড়ম্বর - দুর্বল প্রতিক্রিয়া, যা অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রকে আরও কঠোর এবং আরও নৃশংস হামলার প্রস্তুতি নিতে উৎসাহিত করেছে। প্রকৃতপক্ষে, তারা কেবল হুথি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উপর নির্ভর করেছিল যা অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগে আটক করে - সৌদি বা জর্ডানের আকাশসীমায়! এইভাবে, ইরান “ব্ল্যাক বুল” হয়ে উঠেছে; ফিলিস্তিনে “হোয়াইট বুল” এবং লেবাননে “রেড বুল” এর হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছে; আর এখন নীরবে এবং কাপুরুষতার সাথে হত্যার জন্য নিজের পালা অপেক্ষা করছে!
অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করার জন্য ইরানি সরকারের উপর নির্ভর করা যায় না। তারা যে প্রতিক্রিয়াই দিক না কেন, তারা কখনই সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে না – যা ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি সহ এই অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার এই অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রকে উপড়ে ফেলতে সক্ষম। এই সম্মান এমন একটি সরকারের জন্য নয়, যারা আমেরিকা এবং ইহুদীদের মোকাবেলার ইস্যুতে কেবল বিশ্বাসঘাতকতা এবং অপমানের জন্য পরিচিত এবং ইরাক, সিরিয়া এবং আফগানিস্তানে মুসলিমদের প্রতি নিষ্ঠুরতা এবং শত্রুতার জন্য পরিচিত।
ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা এবং অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রকে নির্মূল করার গৌরব ইসলামী উম্মাহ্’র জন্য অপেক্ষা করছে- যেদিন তারা নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে, যেদিন তারা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর বাণী অনুসরণ করে ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেবে: “কেয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না মুসলিমরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে। ইহুদীরা পাথর ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকবে এবং পাথর বা গাছ বলবে: ‘হে মুসলিম, হে আল্লাহ্’র বান্দা, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, তাকে হত্যা কর’—গরকাদ গাছ ব্যতীত, কারণ এটি ইহুদিদের একটি গাছ।” (সহীহ্ মুসলিম) (সংকলিত)
[নিউজ: ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত ৫৮৫, দাবি মানবাধিকার সংস্থার (লিঙ্ক: https://bangla.thedailystar.net/international/news-680331)]