দিল্লিতে শেখ হাসিনার জন্য রাজনৈতিক কার্যালয়

 


খবরঃ 

দিল্লিতে শেখ হাসিনার জন্য একটি রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আগামীতে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভারতের ডিপ স্টেট তথা গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনা এবং সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে এই রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে বলে ঢাকা, দিল্লি এবং কলকাতার কূটনৈতিক সূত্রগুলো আমার দেশকে নিশ্চিত করেছে। দিল্লির এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশের জন্য এক অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এটা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। শেখ হাসিনার জন্য রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এক ভয়াবহ হস্তক্ষেপ। ... এই রাজনৈতিক কার্যালয়কে শেখ হাসিনার সচিবালয় হিসেবে উল্লেখ করছে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়া দিল্লির যে সুরক্ষিত ভবনে শেখ হাসিনা অবস্থান করছেন সেই ভবনেই তার জন্য সচিবালয় স্থাপন করা হয়েছে। (https://www.youtube.com/watch?v=L7ctdxBoDuk

মন্তব্যঃ 

হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র ভারতের বাংলাদেশ এবং এই দেশের জনগণের প্রতি আচরণ শত্রুতাপূর্ণ যা রাষ্ট্রটিকে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবি করে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া আওয়মী লীগের জন্য রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপন ভারতের চলমান বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রেরই অংশ। কিন্তু, দুঃখজনক হচ্ছে ছাত্র-জনতার রক্তের উপর গঠিত ইন্টিরিম সরকার জনগণের আকাঙ্খার বিপরীতে গিয়ে ভারতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে ভারতের আধিপত্যবাদী আচরণ কাছে আত্মসমর্পণ করছে। ইন্টিরিম হাসিনা সরকার কর্তৃক ভারতের সাথে সম্পাদিত অবমাননকর চুক্তি বাতিল করে নাই। অথচ ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের পিছনের অন্যতম কারণ ছিল ভারতকে প্রদান করা হাসিনা সরকারের নতজানু সুবিধা এবং অবমাননকর চুক্তি বিশেষ করে ট্রানজিট চুক্তি (নৌ-স্থল-আকাশ-বিদ্যুৎ)। শুধু তাই নয়, ক্ষেত্র বিশেষে ইন্টিরিম ভারতের প্রতি আচরণ অতি হৃদ্যতাপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, হাসিনা সরকার কর্তৃক ভারতকে তুষ্ট করার জন্য অস্বাভাবিক মূল্যে আদানীর সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি বাতিল বা পুনঃমূল্যায়ন না করে ভারতকে খুশি করতে অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে আদানির সমূদয় অর্থ পরিশোধ করেছে। বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ আদানির বিদ্যুতের সব বকেয়া পাওনা পরিশোধ করল সরকার, জুলাই ০২, ২০২৫, কালের কন্ঠ। ভারতের অন্যায্য আগ্রাসণের বিরুদ্ধে ইন্টিরিমের কুসুম-কোমল মনোভাব ভারতকে আরও বেশী আগ্রাসী করে তুলেছে। বর্তমানে ভারত ’অন্যায্য চাপ প্রয়োগকে’ বাংলাদেশের উপর তার আধিপত্য টিকিয়ে রাখার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে।  

দুঃখজনক হচ্ছে, ইন্টিরিমের মত আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানও জনগণের বিশ্বাস, আবেগের এবং আকাঙ্খার বিপরীতে। তারা ভারতের শত্রুতাপূর্ণ প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করছে না, বরং তারা ভারতকে ‘নিকট প্রতিবেশী‘ হিসেবে উপস্থাপন করে জনগণকে ভারতের আধিপত্য মেনে নিতে পরামর্শ দিচ্ছে। কারণ তারা জনগণের ম্যান্ডেট না তারা উপনিবেশবাদী (যেমনঃ আমেরিকা) এবং তাদের দোসরদের (যেমনঃ ভারত) ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে।

 সুতরাং, মুসলিমদের অবশ্যই এই সকল নির্বোধ শাসকদের জবাবদাহিতার মুখমুখি করতে হবে এবং এমন শাসকদের নিয়োগ করতে হবে যারা জনগণের বিশ্বাস, আবেগ এবং আকাঙ্খা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। এই শাসক শুধুমাত্র খিলাফত ব্যবস্থার মাধ্যমেই পাওয়া যাবে। খলিফা জনগণের বিশ্বাস এবং আকাঙ্খা অনুযায়ী ভারতকে জয় করে ভারতের মুসলিমসহ বাকী নাগরিকদের হিন্দুত্ববাদী জালিম শাসকগোষ্ঠীর জুলুম থেকে মুক্ত করার রাজনৈতিক এবং সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শক্তিশালী খিলাফতের অধীনে উপনিবেশবাদী শক্তি (আমেরিকা, বৃটেন) বা ভারতের মত উপনিবেশবাদীদের দোসররা মুসলিমদের উপর আধিপত্য বিস্তার তো দূরের কথা মুসলিমদের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহসই পাবে না। ইনশা’আল্লাহ্।

    -    মো: সিরাজুল ইসলাম    

Previous Post Next Post