খবরঃ
ভেরিফাইড ফেইসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল সৌদি আররের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ! আসলে এমন চুক্তি সম্পাদন করা ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর আর কোন উপায় নেই”।
(https://www.ittefaq.com.bd/752577/সৌদি-আরব-পাকিস্তানের-প্রতিরক্ষা-চুক্তি-নিয়ে-আসিফ )
মন্তব্যঃ
সৌদি আরব-পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উচ্ছাস প্রকাশ করলেও, মুসলিম উম্মাহ উচ্ছ্বসিত হতে পারেনি। কারণ, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের যে শাসকগোষ্ঠী ফিলিস্তিন, কাস্মীর, রোহিঙ্গা মুসলিমদের রক্ষায় সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করেনি, যারা আফগানিস্তান, সুদান, ইয়েমেন, সিরিয়া ইত্যাদি দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে; সেই শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে করা নিরাপত্তা চুক্তি যে মুসলিমদের স্বার্থে হয়নি তা বলাবাহুল্য। এই শাসকগোষ্ঠীর অপকর্ম এমন যে তারা এমনকি ইসলামি ব্যবস্থা চাওয়ার কারণে নিজ দেশের নাগরিকদের পিছনে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়। মূলত এসব শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক এক দেশ দুই দেশ কিংবা আঞ্চলিক বহুপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি যা’ই করুক না কেন, এসব চুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুপাক্ষিক প্রক্সি তৈরির মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনার অংশ।
আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিনীরা সরাসরি যুদ্ধ করে ব্যপকভাবে পরাজিত হয়েছিল। ফলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা নিজেরা আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করবে না। এরপর থেকে তারা মুসলিম বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং War on Terror এর নামে ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের নিরন্তর যুদ্ধ চালানোর জন্য এই বিশ্বাসঘাতক মুসলিম শাসকদের মাধ্যমে মুসলিম দেশ সমূহের সামরিক বাহিনীগুলোকে মার্কিন প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করার নীতি গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হচ্ছে এই সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি। একই উদ্দেশ্যে তারা মধ্যপ্রাচ্যেও আঞ্চলিক ন্যাটোর মত সামরিক জোট গঠনের চেষ্টা করছে।
পশ্চিমা কাফেরদের বিভিন্ন জালে আবদ্ধ শাসকরা মুসলিমদের রক্ত ও নিরাপত্তার জিন্মাদার হওয়ার যোগ্য হতে পারে না। ইসলামি ব্যবস্থাগতভাবে খলিফা হচ্ছেন সেই ব্যক্তি। মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এবং তাঁর হাতেই ছিল এর নেতৃত্ব। উনার পর খলিফারা এই সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নব্যুয়তের আদলে প্রতিষ্ঠিত খিলাফত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুসরণে মুসলিম বিশ্বের সেনাবাহিনীকে ঈমানের শক্তিতে বলিয়ান করে, সম্ভবপর সর্বোচ্চ সরঞ্জাম সম্পদ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে, গভীর রাজনৈতিক, কুটনৈতিক বুদ্ধি ব্যবহার করে সত্যিকারের ঐক্যের দিকে নিয়ে গিয়ে মুসলিমদের মুল শত্রু পশ্চিমা কাফের উপনিবেশবাদীদেরকে প্রতিহত করবে, মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, দখলকৃতভুমি সমূহকে উদ্ধার করাবে এবং পুরো বিশ্বে ইসলামের ন্যায়ের শাসন ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “ ইমাম (খলিফা) হচ্ছেন কমান্ডার, যার অধীনে তোমরা যুদ্ধ কর এবং নিজেদের আত্মরক্ষা কর” (সহীহ মুসলিম)।
- মোহাম্মদ তালহা হোসেন
