খবর:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন এখনো ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। এই মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মোদীর সঙ্গে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ট্রাম্প বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে। আমি সব সময়ই মোদীর বন্ধু। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। তবে বর্তমানে তিনি যা করছেন, তা আমার পছন্দ হচ্ছে না। কিন্তু ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ‘খুবই স্পেশাল’। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।” (https://www.jagonews24.com/international/news/1049749)
মন্তব্য:
পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ঘটনার আগেও ভারত দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলে আমেরিকার ভূরাজনৈতিক ও আদর্শিক স্বার্থ রক্ষার চৌকিদার ছিল এবং এখনো তা বহাল আছে। আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার কোন তোয়াক্কা না করে ভূ-রাজনীতিকে শুধুমাত্র স্বার্থ, সম্পদ এবং অযাচিত ও অন্যায় নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করার কারণে আমেরিকা বিশ্বব্যাপী নিজের তৈরী এক মরণফাঁদে আটকে পরেছে। যার ফলে, প্রায় উল্টানো (!) গনেশই এই অঞ্চলে আমেরিকার অনেক স্বার্থের আশার প্রদীপ। কারণ আমেরিকার হাতে বাস্তবিক অর্থেই অন্যকোন বিকল্প নেই। আজ থেকে ১৪’শ বছর আগে পতনের ঠিক পূর্বে বাইজেন্টান সাম্রাজ্যের যেমন ঘরে-বাইরে সকল পরিকল্পনাই উল্টো ফল দিচ্ছিল, এখন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের হয়েছে সেই দশা! আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন এমন যেকেউই আমেরিকার এই লেজে-গোবরে অবস্থার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল।
বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য যারা আমেরিকাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানোর মত “রাজনৈতিক আত্মহত্যা”-কে জনগণের সামনে একমাত্র বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করছে তারা আমেরিকা-ভারতের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ঘটনায় তৈরী মৃদু উত্তেজনাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করে তাদের যুক্তির পক্ষে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করছিল। কিন্তু এই দালালদের মুখ কালো করে দিয়ে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রভূ-ভৃত্ত উভয়েরই বোধদয় হয়েছে। একে অন্যকে বিশ্ববাসীর কাছে হাসির খোড়াকে পরিণত করছে তা বুঝতে পেরে দ্রুতই তারা বক্তব্যের ভাষা পরিবর্তন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে, কাফিরদের পরষ্পরের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। মহান আল্লাহ্ বলেন: “তোমরা মনে কর যে (তোমাদের বিরুদ্ধে) তারা পরষ্পর ঐক্যবদ্ধ, কিন্তু বাস্তবে তাদের অন্তরসমূহ বিভক্ত (ও শত্রুভাবাপন্ন)। কারণ, তারা এমন সম্প্রদায় যাদের কোন আকল (জ্ঞান) নেই” (সূরা আল হাশর: ১৪)। ইনশা’আল্লাহ্, সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যখন ঐক্যবদ্ধ মুসলিম উম্মাহ্’র হাতে ‘খুব ইতিবাচক’ সম্পর্কের এই প্রভু-ভৃত্য উভয়েরই পতন হবে।
- রিসাত আহমেদ
