আই লাভ মুহাম্মদ ﷺ’ স্লোগানে উত্তাল ভারত

 


খবর:

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে ‘আই লাভ মুহাম্মদ ﷺ’ স্লোগান। গত ৪ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে মুসলিমরা “আই লাভ মুহাম্মদ ﷺ”লেখা পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেন। তা ঘিরে স্থানীয় কিছু হিন্দু সংগঠনের অভিযোগের প্রেক্ষীতে পুলিশ শোভাযাত্রায় হস্তক্ষেপ করে ও ১২ জন মুসলিমকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ধর্মীয় শোভাযাত্রায় নতুন রীতি (‘আই লাভ মুহাম্মদ’ ব্যানার) যোগ করা ‘নিয়মবিরুদ্ধ’। এর প্রতিবাদে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগানটি বিভিন্ন রাজ্যের মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তরপ্রদেশে কানপুর, বেরেলি, উন্নাও, লক্ষ্ণৌ, কৌশাম্বি, মহারাজগঞ্জে প্রকাশ্যে এই প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় মুসলিমরা। এছাড়াও মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্যেও সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মুসলিমরা। গুজরাটের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অন্তত ৬০ জন মুসলিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (https://www.jugantor.com/international/1008780)

মন্তব্য:

ভারত বলতে এখন অনেকে বিজেপি, কংগ্রেস, আরএসএস, হিন্দুত্ববাদ ও নরেন্দ্র মোদিকে মনে করলেও ভারত প্রকৃতপক্ষে মুসলিমদের ভূমি। ভারতের প্রতিটি প্রান্তে রয়েছে মুসলিমদের শক্তিশালী পদচারনা এবং মুসলিম শাসনের অধীনে ৫০০ বছর বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্র ছিল ভারত। ক্রুসেডার বৃটিশরা ভারতকে মুসলিমদের হাত থেকে কেড়ে নেয় এবং ভারত ত্যাগের সময় হিন্দুদেরকে ভারতের শাসনক্ষমতা উপহার হিসেবে দিয়ে যায়। কিন্তু, ভারত শাসনের ন্যায্য অধিকার শুধুমাত্র মুসলিমদের। বাংলাদেশ বা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্র এই অধিকারকে পুনরুদ্ধার করবে ও ভারত বিজয় করে ভারতকে পূনরায় ইসলামী শাসনের অধীনে নিয়ে আসবে, ইনশাআল্লাহ। 

হিযবুত তাহরীর যখন ভারতকে পূনরায় ইসলামী শাসনের অধীনে নিয়ে আসার আহ্বান জানায় তখন অনেকেই অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকায় এবং ভারতের বিপরীতে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। কিন্তু এই সমীকরণে তারা ভারতে বসবাসরত অন্তত ৪০ কোটি মুসলিমকে বিবেচনায় নেন না, যাদের অন্তরে আল্লাহ ও আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি অকৃত্তিম ভালবাসা ও অবিচল আনুগত্য বিদ্যমান। অবর্ণনীয় রাষ্ট্রীয় অত্যাচার এবং চরম সামাজিক শত্রুতা ও অসহিষ্ণুতার পরেও ভারতের মুসলিমরা ইসলামী আক্বীদা’র প্রশ্নে সবসময় আপসহীন। কিন্তু, সঠিক ও দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাবে এই বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠী নিজ দেশে পরবাসীর মত জীবনযাপন করছেন। আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্র ভারতের মুসলিমদের এই নেতৃত্বের সংকট দূর করে দিবে এবং তাদের অস্তিত্বের বা বেঁচে থাকার প্রকৃত লক্ষ্য ও সঠিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করে দিবে। তখন এই বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দমিয়ে রাখার সাধ্য পৃথিবীর কোন শক্তির হবে না। আর এর সাথে খিলাফতের অজেয় ও নির্ভীক সেনাবাহিনীর শক্তিমত্তা যখন একত্রীত হবে তখন হিন্দুত্ববাদী ক্রিমিনাল শাসকদেরকে পায়ে শিকল পরিয়ে খলিফার বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো শুধুমাত্র একটা আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ। 

ভারতের বর্তমান শাসকরাও তা জানে এবং এজন্যই তারা বাংলাদেশে খিলাফতের উত্থানের ভয়ে ভীত। এই ভীতি থেকেই ভারতের শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন দালাল নিয়োগ করে আসন্ন ভারত বিজয় ও গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কিত হাদীস সমূহের ব্যাপারে নানান বিতর্ক ও কুৎসা রটনা করছে। কিন্তু তারা জানে না ইসলামকে সকল দ্বীনের ‍উপর বিজয়ী করার ‘আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ’ অনুসরণে বর্তমান প্রজন্মের মুসলিম উম্মাহ বদ্ধপরিকর এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ‘রাসূলুল্লাহ (সা) কর্তৃক প্রদত্ত’ সুসংবাদ হল তাদের মূল অনুপ্রেরণা। কোন বর্ণনায় যদি “গাজওয়াতুল হিন্দ” শব্দটির কোন অস্তিত্বও না থাকত, তাহলেও মুসলিমদের আসন্ন ভারত বিজয় কেউ ঠেকাতে পারত না!

    -    রিসাত আহমেদ 

Previous Post Next Post