“ক্যু এর গুজব; ঠেকানোর আহ্বান ব্যর্থ হলো কেন?”

 


খবর:

গভীর রাতে মিলিটারি ক্যু হবে বলে প্রচার করা হলো এবং সেটা ঠেকানোর জন্য রাস্তায় নামার আহ্বানও জানানো হলো। কিন্তু রাস্তায় নামেনি কেউ। ক্যু এর গুজব রটানো হলো কেন? মানুষও কেন সাড়া দিলো না এমন আহ্বানে?

(https://www.youtube.com/watch?v=4Tly2vhESNI#ddg-play)

মন্তব্য:

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে উঠেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যাতে সফল হলে বিশাল বিপর্যয় নেমে আসবে দেশের উপর। হাসিনার আমলে দীর্ঘদিন ধরে শিকড় গেড়ে বসা বৃটিশপন্থী সামরিক ও বেসামরিক ব্যুরোক্রেসিকে অপসারণ করে আমেরিকাপন্থী গুটিকয়েক অফিসারকে নেতৃত্বের আসনে বসানোর জন্য উঠে পরে লেগেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কাজে আমেরিকার মদদপুষ্ট এই সরকার ও দালাল গোষ্ঠী হাসিনার দুষ্কর্মের সহযোগী কতিপয় অফিসারদেরকে সামনে রেখে সার্বিকভাবে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে এবং দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভাজন ও মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কতিপয় ইনফ্লুয়েন্সার হেমিলনের বাঁশিওয়ালার মত জাতিকে সম্মোহন ও বিভ্রান্ত করে চলেছে। এই ইনফ্লুয়েন্সাররা ভূ-রাজনীতি ও সভ্যতার সংঘাতের ব্যাপারে অজ্ঞ। দেশের জনগনের অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রকৃত কল্যানের ব্যাপারে নূন্যতম জ্ঞান না রাখলেও জনগনের মধ্যে মেরুকরণ ও বিভাজনের কালোজাদুতে সিদ্ধহস্ত। এই মেরুকরণ সফল হলে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশপাশি সামরিক ও বেসারমরিক প্রশাসনের উপরও পূর্ণ এবং একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রন পেয়ে যাবে ক্রুসেডার আমেরিকা, যা দেশের জনগন ও সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ সকলের জন্যই একটি অশনীসঙ্কেত। ইতিপূর্বেও শেখ মুজিবের অনুগত জেনারেল খালেদ মোশাররফকে ভারতের দালাল বলে তার নেতৃত্বে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দিয়ে বাংলাদেশকে আমেরিকার অনুগত দালালদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল। 

সামরিক বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ও ইসলামপ্রিয়, আমেরিকাও তা জানে। তাই তাদেরকে চতুরতার সাথে প্রতারিত করে আমেরিকার অনুগত গুপ্তচরদেরকে নেতৃত্বের আসনে বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই অন্তর্বর্তী সরকার যাদেরকেই জাতির রক্ষাকর্তা ও হিরো হিসেবে উপস্থাপন করবে তারাই মূলত আমেরিকার ‘লুকানো’ তুরুপের তাস। মূলত বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে বৃটিশ-ভারতের নিয়ন্ত্রন থেকে বের করে আমেরিকার নিয়ন্ত্রনে প্রবেশ করানোটা রাতের অন্ধকারে বিপদসঙ্কুল পথে জংলী কুকুরের পালের কবল থেকে বাঁচার জন্য হায়েনাকে আমন্ত্রন জানানো মতই নির্বুদ্ধিার কাজ। বৃটিশ-ভারতের নিয়ন্ত্রন কিংবা আমেরিকার নিয়ন্ত্রন দুটোই জনগনের জন্য একই পরিনতি বয়ে আনে, ইতিহাস তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। 

আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্রই পারে দেশের সামরিক বাহিনীকে সকল বিদেশী রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন থেকে মুক্ত করে জনগন ও ইসলামের রক্ষাকবচ হিসেবে গড়ে তুলতে। খলিফা ইসলামী আক্বীদাহ-র ভিত্তিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করবেন এবং সামরিক বাহিনী ও জনগনের শত্রু-মিত্র নির্ধারণের জন্য কুরআন ও সুন্নাহর মানদন্ড নির্ধারণ করে দিবেন। 

    -    রাজিব আহমেদ


Previous Post Next Post