রাজনীতি এখন ডাস্টবিনের মতো হয়ে গেছে: রুমিন ফারহানা



খবরঃ

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, রাজনীতি এখন ডাস্টবিনের মতো হয়ে গেছে। তিনি বলেন, একজন শিক্ষিত নারী, যার একটি সম্মানজনক পেশা আছে এবং যিনি একটি ভালো পরিবারের সদস্য, তিনি এই নোংরামির মধ্যে নামবেন কেন? রাজনীতি এখন একেবারেই ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার আগমন, সবার হাতে মোবাইল ফোন থাকা এবং ‘বট আইডি’ ও ‘এআই’ আসার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। … (https://www.jugantor.com/politics/1024949)


মন্তব্যঃ

বর্তমান সেক্যুলার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রাজনীতি করা যখন ধন-সম্পদ উপার্জনের মাধ্যম অথবা অর্জিত ধন-সম্পদে নিরাপত্তা দেওয়ার মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখনই রাজনীতিটা ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। এই ডাস্টবিন এখন আর সম্মানজনক কোন স্থান না। আর এখানে মুখ দেওয়াও কোন সম্মানিত মানুষের কাজ না। অবশ্য এ ধরনের কথা রুমিন ফারহানার আগেও অনেক বিখ্যাত রাজনৈতিক কর্মীরা বলে গিয়েছেন। জর্জ বার্নাড শ’ বলেছিলেন, “রাজনীতি হল বদমাশদের শেষ আশ্রয়স্থল”। তার এই কথাটা সকল রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে না হলেও বর্তমান যুগের এই স্রষ্টা বিবর্জিত সেক্যুলার রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে সত্য। 


মূলত রাজনীতি করাটা একটি খুবই সংবেদনশীল কাজ। কারণ রাজনীতিবিদরা যখন শাসন ক্ষমতায় যায়, তখন সমগ্র দেশের জনগণের উপর কর্তৃত্ব করার সাথে সাথে জনগণের ধনভাণ্ডারও তাদের নিকট উন্মুক্ত হয়ে যায়। সেই ধনভাণ্ডার ও কর্তৃত্ব নিয়ে তারা যদি জনগণের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালন করে, তখন তারা ইসলামী শাসনব্যবস্থার উমর (রাঃ) এর মতো উৎকৃষ্ট রাজনীতিবিদ বা শাসক হতে পারে। আবার সেগুলোর অপব্যবহার করে তারা সেক্যুলার শাসনব্যবস্থার হাসিনা বা ট্রাম্পের মতো নিকৃষ্ট রাজনীতিবিদ হতে পারে। ‘জনগণ রাষ্ট্রের মালিক, শাসক জনগণের সেবক’-এই ধরনের তত্ত্বকথা বর্তমান যুগের এই স্রষ্টা বিবর্জিত সেক্যুলার রাজনীতিবিদদেরকে জনগণের ধন-ভান্ডার লুট করা থেকে বিরত রাখতে পারে না। স্রষ্টাকে পরোয়া না করার কারনে তারা নিজেদেরকে সর্বশক্তিমান ভাবতে থাকে এবং সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে রাজনীতিটাকে ডাস্টবিনে পরিনত করে। আর এই ডাস্টবিনে ভদ্রমহিলাগন স্থান পাবেন না, এটাই স্বাভাবিক।


রাজনীতিকে ডাস্টবিন হওয়া থেকে মুক্ত রাখার জন্য স্রষ্টার নির্দেশিত ইহকাল ও পরকালীন জবাবদিহিতার ইসলামি রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মুসলিমদের সমষ্টিগত কোনো বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলো, অতঃপর সে তাদের সাথে নিষ্ঠার সাথে এবং তাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করলো না, আল্লাহ তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন”। এ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মজলিস আল-উম্মাহ, মাজালিম আদালত ও জনগণের শাসকদেরকে জবাবদিহিতা করার সংস্কৃতি শাসক ও জনগণের ধনভান্ডারের মাঝখানে দেয়াল তৈরি করে দেয়। এ রাজনীতিটা মুসলিমগন করে থাকেন নামাজ ও রোজার মতোই আল্লাহ সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। কোন বস্তুগত প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে নয়। এই রাজনীতিতে একজন সাধারণ দরিদ্র মহিলাও জবাবদিহিতা করা বা সত্য কথা বলার ক্ষেত্রে শাসকদেরকে পরোয়া করে না। ইসলামের প্রথম শহীদ সুমাইয়া (রাঃ) কুরাইশ শাসক আবু জেহেলের সাথে সামনে সত্য বলার কারনে শাহাদাতের মর্যাদা লাভের মাধ্যমে সর্বযুগের সম্মানের অধিকারী হয়েছিলেন। সেই সাথে খাদিজা (রাঃ), আয়েশা (রাঃ) থেকে শুরু করে পরবর্তীতে অসংখ্য সম্মানিত নারী ইসলামের রাজনীতিতে অবদান রেখেছিলেন।

    -    মোঃ জহিরুল ইসলাম


Previous Post Next Post